হনুমান চালীসা বাংলা (Hanuman Chalisa Lyrics In Bengali)

১৬শ শতাব্দীতে গোস্বামী তুলসীদাস জি হনুমান চালিসা রচনা করেন। এটি ভগবান হনুমানকে উৎসর্গীকৃত একটি অবধি ভাষার কাব্যিক রচনা। এই কাব্যে মোট ৪৩টি ছন্দ রয়েছে — দুইটি প্রারম্ভিক দোহা, ৪০টি চৌপায়ী এবং শেষে একটি দোহা।হনুমান চালিসায় মোট ৪১৮টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এতে মোট ১০৪১টি অক্ষর রয়েছে। এই চালিসা পাঠ করার সময় ১০ বার ‘প্রভু শ্রী রাম’-এর নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।প্রথম প্রারম্ভিক দোহাটি ‘শ্রী গুরু’ শব্দ দিয়ে শুরু হয়, যা শিবকে বোঝায়, যিনি হনুমানের গুরু বলে বিবেচিত হন।প্রথম দশটি চৌপায়ীতে হনুমানের শুভরূপ, জ্ঞান, গুণ, শক্তি এবং বীরত্বের বর্ণনা করা হয়েছে। একাদশ (১১তম) থেকে বিংশ (২০তম) চৌপায়ীতে রামের সেবায় হনুমানের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা আছে। একাদশ (১১তম) থেকে পঞ্চদশ (১৫তম) চৌপায়ীতে লক্ষ্মণকে পুনরুজ্জীবিত করতে হনুমানের ভূমিকার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।একবিংশ (২১তম) চৌপায়ীতে তুলসীদাস হনুমানের কৃপা কেন প্রয়োজন, তা ব্যাখ্যা করেছেন।শেষে, তুলসীদাস গভীর ভক্তির সাথে হনুমানকে প্রণাম জানিয়েছেন। চূড়ান্ত দোহায় তিনি পুনরায় হনুমানজিকে অনুরোধ করেছেন যে, তিনি শ্রী রাম, লক্ষ্মণ এবং সীতা মাতার সঙ্গে ভক্তের হৃদয়ে বিরাজ করুন।

hanuman-chalisa-lyrics

হনুমান চালীসা বাংলা

চালীসা:হনুমান চালীসা বাংলা
সৃষ্টিকর্তা:গোস্বামী তুলসীদাস জি
Lable:T-Series

Read in – English / हिन्दी / ଓଡିଆ / मराठी

চালীসা : হনুমান চালীসা বাংলা (Hanuman Chalisa In Bengali)

॥ দোহা ॥

শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দাযক ফলচারি ॥

বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্য়া দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥

চৌপাঈ

জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর ।
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর ॥ ১ ॥

রামদূত অতুলিত বলধামা ।
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা ॥ ২ ॥

মহাবীর বিক্রম বজরংগী ।
কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ॥ ৩ ॥

কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা ।
কানন কুংডল কুংচিত কেশা ॥ ৪ ॥

হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ ।
কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ ॥ ৫॥

শংকর সুবন কেসরী নংদন ।
তেজ প্রতাপ মহাজগ বংদন ॥ ৬ ॥

বিদ্য়াবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ ৭ ॥

প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া ।
রামলখন সীতা মন বসিয়া ॥ ৮॥

সূক্ষ্ম রূপধরি সিযহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জলাবা ॥ ৯ ॥

ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচংদ্র কে কাজ সংবারে ॥ ১০ ॥

লায় সংজীবন লখন জিয়ায়ে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলায়ে ॥ ১১ ॥

রঘুপতি কীন্হী বহুত বডায়ী (ঈ) ।
তুম মম প্রিয় ভরত সম ভায়ী ॥ ১২ ॥

সহস্র বদন তুম্হরো যশগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ ॥ ১৩ ॥

সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ ১৪ ॥

যম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ ১৫ ॥

তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা ॥ ১৬ ॥

তুম্হরো মংত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা ॥ ১৭ ॥

যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ ।
লীল্য়ো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ ১৮ ॥

প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহী ॥ ১৯ ॥

দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ॥ ২০ ॥

রাম দুআরে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ ২১ ॥

সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না ॥ ২২ ॥

আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ ২৩ ॥

ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ ২৪ ॥

নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরংতর হনুমত বীরা ॥ ২৫ ॥

সংকট সে হনুমান ছুডাবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্য়ান জো লাবৈ ॥ ২৬ ॥

সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ ২৭ ॥

ঔর মনোরথ জো কোয়ি লাবৈ ।
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ ২৮ ॥

চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা ॥ ২৯ ॥

সাধু সংত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ ৩০ ॥

অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্হ জানকী মাতা ॥ ৩১ ॥

রাম রসাযন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ ৩২ ॥

তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ ৩৩ ॥

অংত কাল রঘুপতি পুরজায়ী ।
জহাং জন্ম হরিভক্ত কহায়ী ॥ ৩৪ ॥

ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরয়ী ।
হনুমত সেয়ি সর্ব সুখ করয়ী ॥ ৩৫ ॥

সংকট ক(হ)টৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ ৩৬ ॥

জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসায়ী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নায়ী ॥ ৩৭ ॥

যহ শত বার পাঠ কর কোয়ী ।
ছূটহি বংদি মহা সুখ হোয়ী ॥ ৩৮ ॥

জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা ।
হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ ৩৯ ॥

তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা ॥ ৪০ ॥

দোহা

পবন তনয় সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ্ ॥

সিয়াবর রামচংদ্রকী জয় । পবনসুত হনুমানকী জয় । বোলো ভায়ী সব সংতনকী জয় ।

Leave a Comment